জীবনের প্রথম ভালবাসা বন্ধুকে গিফট করলাম

জীবনের প্রথম ভালবাসা বন্ধুকে গিফট করলাম









নব্য ভালবাসা।তবুও আবার জীবনের প্রথম।মনেতো সমুদ্রের ঢেউয়ের থেকেও আনন্দ লেগেছিলো সেদিন।কথা বলতে গেলেই শ্রদ্ধেয় রবি ঠাকুরদা,শ্রীকান্ত দা,তাদের প্রেমের কথা গুলো মনে পড়ে যায়।
যাইহোক,মনের মানুষের সাথে কথা বলতে পারলে না জানি কত সুখ।মনে হয় জীবনটা রঙ্গিন।কিন্তু সেটাতো ক্ষণিকের।তবে আস্তে আস্তে বন্ধুর মতো করে কথা শুরু করলাম।শুরুটা না হয় জাস্ট ফ্রেন্ড শব্দ দিয়েই শুরু করি।ওহ আমার গল্পের নায়ক,নায়িকা, এবং আরো যারা থাকবে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।
★আমি আশিক,(ছদ্মনাম) আমার নায়িকা পরী(ছদ্মনাম )
চাচাতো ভাই রাজিব বড় (ছদ্মনাম ) আরেকজন রাজিবেরই ছোট্ট ভাই সজিব(ছদ্মনাম )।এরা সবাই আমার চাচাতো ভাই বোন।পরী শুধু মেজো কাকার মেয়ে।আমি সবার ছোট।রাজিব সজিব সেজো কাকার ছেলে।

যাইহোক, আমি তখন ক্লাস এইট পরিক্ষা দিয়ে শেষ করলাম।তবে বলে রাখি পরী কিন্তু আমার চেয়ে এক ব্যাস সিনিয়র । মানে ও তখন ৯ম শ্রেণিতে।যাইহোক লম্বা একটা ছুটি।আব্বু বললো এখন বসে না থেকে পরীর নোট গুলো নিয়ে দেখতে থাক, ওর সাথে যোগাযোগ রাখ।আমি হোস্টেলে থেকেছি।তাই পরীর সাথে ছোট থেকেই ওতো কথা হতো না।পড়ার জন্য ওর সাথে ওঠা বসা শুরু হলো।এক পর্যায়ে ফোনে কথা বলা শুরু।।শুরু হচ্ছে জাস্ট ফ্রেন্ডের প্রথম ধাপ।আস্তে আস্তে কথা বলতে বলতে অনেকটাই ক্লোজ হলাম।এভাবে প্রায় মাসখানেক চললো।ঘটনাটা বড়ভাই রাজিবকে জানালাম।বড় ভাই একদম বন্ধুর মতো ছিলে।বড় ভাই বললো , নারে আশিক,ওর চেয়ে আরো ভালো মেয়ে পাবি।কিন্তু ঐ যে মনে একটা ঢেউ খেলতেছে।তাই কারো কথা নিলাম না।বন্ধু মারুফের সাথে কথা বল্লাম।।ও বললো তুই আগে মেসেজ এ জানা।যদি রেসপন্স পাস তাহলে প্রোপোজ করবি,তা নাহলে বলবি আরেকজনকে দিতে গিয়ে তোমার টায় গেছে।যেই কথা সেই কাজ।।ফিরতি মেসেজ কি আসলো জানেন??





এতো দেরি হলো বলতে???আমিতো খুশি তে আত্নহারা।সেদিন সালা মারুফকে অনেককিছু খাওয়াইছিলাম।যাইহোক,লাভার হিসেবে চলছে। আমি তুমি বলতাম,ও তুই বলতো।।একদিন ওবললো বাড়িতে আইসো আজ, একটা জিনিস দিবো।
আমিতো শেষ।কি দিবে??আমি কি দিবো??ভালবাসার ১ম সামনাসামনি ঐ ভাবে দেখা হবে।ভাবতেই গা শিউরে উঠতো।সত্যি বলতে তখন এতোটাই হাবা ছিলাম যে ভালবাসার মানুষ কি চায় বুঝিনি।
যাইহোক,আমি ওর জন্য মার্কেট থেকে একটা গলার চেইন কিনে নিয়ে যাই।বাড়িতে গেলাম। যাওয়ার পর আমাকে বই হাতে দিলো, আর বললো পড় আসতেছি।ওদিকে কাকি রান্না করতেছে।একটুপর পরী আসলো।আমি ওরে দেখিই দাড়িয়ে পড়লাম।ও আমাকে ধাক্কা দিয়েই বিছানায় ফেলে দিলো,দিয়েই কিস করলো।আমি কিচ্ছু বুঝে উঠতে পারলাম না।ও ওঠে গেলো বাহিরে।একটুপর আবার আসলো, এবার দাড়িয়ে ৩,৪টা কিস বসিয়ে দিলো।কিন্তু আমি হা হয়ে রইলাম।তারপর বললো চলে যা।চলে আসলাম।ফোনে বললাম ওগো এটা কি দিয়া দিলা?পদ্মা যমুনার জলের ঢেউ বাড়িয়ে গেলো।সে শুধু হাসতো।।চেইনের কথা বলাতে বললো,আবার কি আসতে চাচ্ছো??আমি শুধু চুপ রইলাম।রাজিব ভাইকে নিয়ে বিকেলে ওদের বাড়ি যাই,রাজিব ভাইকে খাটে বসিয়ে রেখে আমি ওর হাতে দিলাম,কিন্তু ও ওভাবে নিবে না। পড়িয়ে দিতে হবে।আমি ওর পিছনে থেকে ওর চেইনটা পড়িয়ে দিলাম।এভাবেই চলতে থাকে................
৯ম শ্রেণি তে ভর্তি হলাম।বন্ধুগুলো একসাথে ভর্তি হলাম।একদিন পরীর সাথে আমার নতুন বন্ধু আকাশ আর জুয়েলের পরিচয় করিয়ে দিলাম।।তারপর থেকে জুয়েলও পরীর বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে হয়ে গেলো।কিছুই ভাবতাম না।
কারণ,ওর উপর বিশ্বাস ছিলো।কোনদিন ভাবিনি ও বিশ্বাসের অমর্যাদা করবে।যাইহোক আমি রাগ করলে জুয়েলেরে ফোন দিয়া রাগ ভাঙ্গাতো।যাইহোক শর্টকাট মারি,একটা সময় কোন এক অনুষ্ঠানে আকাশের কাছে পরীকে ভালো লাগে।কারণ টা ছিলো আকাশ অনেক ভালো ছেলে ছিলো।কখনো মেয়েদের সাথে কথা বলতো না।যাইহোক আকাশ জুয়েলের মাধ্যমে আমাকে বলে, আমি কি বলবো,ওরাও ছিলো বেস্টফ্রন্ড। আমি বল্লাম পরীর সাথে আগে কথা বলি দেখি ও কি বলে।আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস ছিলো ও না করবে।
কিন্তু আমি ওরে ফোন দিলাম,যে আকাশের তো তোমাকে ভালো লেগেছে।তাকে ভালোবাসতে চায়??
ও বললো কি জানেন??বললো তুই কি বলোস??তুই রাজি থাকলে আমি করতে পারি।বিশ্বাস কৃরেন আমার মাথার উপর আকাশ ভেংগে
পড়লো।আমি বললাম তোর যা ভালো লাগবে তাই করবি।ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।তোরে ছাড়া যেমন পারবো না,ঠিক ওরে ছাড়ও পারবো না।

ও বললো ঠিক আছে ওর সাথেই করবো।।আমি হাসতে হাসতে ফোন কেটে দিলাম।পরবর্তীতে সে এখন আমার বন্ধুরও নয়, আরেকজনের বউ🤣😂😂




বিঃদ্রঃএই গল্প সম্পূর্ণ আমার কাল্পনিক 🤣😂 কারো সাথে মিলে গেলে দায়ী নহে।


No comments

Powered by Blogger.